সুইজারল্যান্ডের জেনেভার নিকটে অবস্থিত পৃথিবীর সবথেকে বড় মেশিন।এটার নাম লার্জ হেড্রন কোলাইডার। এটাকে CERN ও বলে। এটা নিয়ে আপনারা অনেকেই জানেন। কী কাজ করে, কিভাবে কাজ করে এটা নিয়ে গুগল সার্চ, উইকিপিডিয়া বা এসব জায়গায় বিস্তারিত পড়তে পারেন। কিন্তু আমি এখানে যে তথ্য গুলো সেগুলো একটু স্পেকুলেটিভ। অনেক তথ্য কন্সপিরেসি মনে হতে পারে। কিন্তু এই তথ্য গুলো ফেলে দেওয়ার মতো না।
লার্জ হেড্রন কোলাইডার হলো পার্টিক্যাল কোলাইডার যেখানে কিনা কয়েকটা পার্টিকেল কে আলোর গতিতে চালনা করে এদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটিয়ে এন্টিমেটার তৈরি করা হয় এবং বিভিন্ন ইন্টারস্টেলার পার্টিকেল এর উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু এই মেশিনের কিছু ডার্ক সাইড আছে।
প্রথম কথা হলো, এই পার্টিকেল কোলাইডার এর সামনে শিবের মূর্তি আছে। সুইজারল্যান্ড হলো ইউরোপীয় দেশ। যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো বালাই নেই তবুও সনাতনী এক দেবতার মূর্তি কেন? যেখানে বিজ্ঞান কোনো ধর্ম বিশ্বাসকেই তোয়াক্কা করে না সেখানে সনাতন ধর্মের দেবতার মূর্তি রাখা কি অর্থ বহন করে?
সনাতনী বিশ্বাস অনুযায়ী শিব হলো God of destruction. শিবের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা থাকার পরেও শিব ইনার্ট। কিন্তু শিবের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার বিবরণ মহাভারতের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। কয়েকজন “কনস্পিরেসি থিওরিস্ট” দাবি করেছে এই লার্জ হেড্রন কোলাইডার হলো একটা ওয়ার্ম হোলের প্রোটোটাইপ যেটা কিনা দুনিয়ার সাথে অন্যান্য ডিমেনশনের যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে/ এখনো চেষ্টা করা হচ্ছে, যেখান থেকে হয়তো কোনো ডেস্ট্রাক্টিভ ক্ষমতা সম্পন্ন কোনো এনটিটি হয়তো আমাদের ডিমেনশনে আসতে পারে।
বেশ কয়েকটা গোপনে ধারণকৃত ভিডিওতে দেখেছি CERN এ কর্মরত বিজ্ঞানীরা প্রায়ই এই শিবের মূর্তির সামনে বিভিন্ন রিচুয়াল করে থাকে, যেটা সম্পুর্ণ অবৈজ্ঞানিক। একটা ভিডিওতে দেখছিলাম এরকম যে কয়েকজন বিজ্ঞানী ব্যাফোমেট( satan) এর মাস্ক পরে রিচুয়ালে অংশ নিয়েছিল। পরে অবশ্য CERN এর ওয়েবসাইটে জানানো হয় এগুলো নাকি প্র্যাঙ্ক ছিল।
অনেকে দাবি করেছে এই CERN ও haarp( High-frequency Active Auroral Research Program)থেকে মাইক্রো ব্ল্যাকহোল এবং আর্টিফিশাল ফ্রিকুয়েন্সি ম্যানুপুলেটর তৈরী করা হয় যেগুলো পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে।
মহাভারতের যতগুলো ক্যারেক্টার আছে সবগুলোর সাথে মেসোপটেমিয়ান প্যান্থিওনের দেবতা গুলোর ডেসক্রিপশন এটামিলে যায়। সুমেরীয় সভ্যতার মিথলজি পড়লে দেখবেন সেখানে কিছু বিষয় সুপার এডভান্সড। যেমন: আলালু নামের এক দেবতা স্বর্ণের খোঁজে পৃথিবীতে আসার পরে মঙ্গল গ্রহের পাশে থাকা এস্টেরয়েড বেল্টের মধ্যে পথ তৈরি করতে সেখানে নিউক্লিয়ার বিষ্ফোরণ ঘটায় এবং পরবর্তী স্পেসশিপ আসার পথ তৈরি করে দেয়। এবং ইগিগি নামের এক প্রজাতির হিউম্যানয়েড নিয়ে আসে মঙ্গল গ্রহে। তারা সেখানে ও পৃথিবীতে এসে স্বর্ণ আহরণ করে। এই তথ্য গুলো জাকারিয়া সিচ্চিনের লেখা দ্যা আর্থ ক্রনিকল্সে পাওয়া যায়। উনার বইগুলো খুব একটা একাডেমিক না কারণ উনি একাডেমিক অঙ্গনের কেউ ছিলেন না।
আর্থ ক্রনিকল্সের তথ্য অনুযায়ী দূর অতীতে মঙ্গল গ্রহ সূর্যের নিকটে ছিল। বর্তমানে সৌরজগতের যে অঞ্চলে পৃথিবী আছে। সৌরজগতের প্রত্যেকটা গ্রহ উপগ্রহ বছরে প্রায় ০.৬ সেন্টিমিটার দূরে সরে যাচ্ছে। কিন্তু মঙ্গল গ্রহ যখন সৌরজগতের গোল্ডিলকস অঞ্চলে ছিল তখন মঙ্গল গ্রহে প্রাণের উপস্থিতি ছিল।
জো রোগানের একটা পডকাস্টে টেরেন্স হাওয়ার্ড দাবি করেছে যেখানে এস্টেরয়েড বেল্ট আছে আমাদের সৌরজগতে, যেখানে পৃথিবীর মতো আরেকটা গ্রহ ছিল এবং সেখানে এক প্রজাতির হিউম্যানয়েড ছিল যাদের কাছে এই লার্জ হেড্রন কোলাইডার এর মতো ডিভাইস ছিল। কিন্তু তারা এটার এক্সপেরিমেন্ট চালাতে চালাতে একসময় তাদের গ্রহ এক্সপ্লোড করে, যেটা ভেঙ্গে গিয়ে এস্টেরয়েড বেল্ট তৈরি হয়েছে। এই তথ্যের কোনো রেফারেন্স আমি পাইনি তাই এটা আপনারা এন্টারটেইনমেন্ট পারপাসে পড়ে নিবেন।
আরো গোপন কিছু বিষয় জড়িত আছে এই লার্জ হেড্রন কোলাইডার এর সাথে যেগুলো বিভিন্ন সময়ে অনেকে ফাঁস করে দিলেও তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে কন্সপিরেসি থিওরি বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু CERN বা HAARP এর মতো ডিভাইস গুলো যে পৃথিবীতে বিভিন্ন দৃশ্যমান ও অদৃশ্য পরিবর্তন সাধন করে চলেছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।